এসএসসি সমমান এবং এইচএসসি সমমান পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অন্তর্ভুক্ত করে। জাতীয় শিক্ষা বোর্ড ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নতুন অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করছে। অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি হলেই তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়নে সরাসরি ক্লাস নিয়ে শেষ করা হবে। আর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ হলেই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে দিয়েছি। এই অ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী আমরা অ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছি। তারপরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সরাসরি ক্লাস করাবো। আমাদের চেষ্টা থাকবে এসএসসির ৬০ দিন এবং এইচএসসির ৮০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করিয়ে নেবো। যদি একান্তই না পারি তাহলে যতটুকু করা সম্ভব হবে যতটুকু পারি ততটুকুই পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এনসিটিবি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করছে। অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি শেষ হলেই তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। ’
এর আগে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশ বা তার নিচে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতি অনুকূলে না আসায় ছুটি বাড়াতে হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে গত ২০ মার্চ থেকে শুরু করা মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির আলোকে অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন সাময়িক স্থগিত করে সরকার। গত ২৩ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এই নির্দেশনা জারি করে। অন্যদিকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ৬০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৮০ দিনের সিলেবাস অনুযায়ী নতুন অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়ন শুরু করে এনসিটিবি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় অনিশ্চয়তা তৈরির কারণে বিকল্প এই ব্যবস্থা শুরুর উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে রবিবার (২৩ মে) চলাচল ও সার্বিক কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষেধ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও এক দফা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। দফায় দফায় তা বাড়িয়ে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত